লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)র সাড়াশি অভিযানে সীমান্তে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ আসামী আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ও দিনে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি’র বিশেষ টহলদল কর্তৃক সীমান্ত এলাকায় ৩টি বিশেষ টহল দল সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ, ফেন্সিডিল ও গাজা উদ্ধারসহ ১জন আসামী আটক করেছে। চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদক বিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করবে।
উক্ত তথ্যানুযায়ী, রামখানা বিওপি’র আওতাধীন মাঠ পাড়া (থানা- নাগেশ্বরী, জেলা- কুড়িগ্রাম) নামক স্থানে বিশেষ টহল অভিযান পরিচালনা করে ৩৫০ বোতল ইস্কাফ সিরাপসহ ১টি বাই সাইকেল উদ্ধার করা হয় এবং একই বিওপির আওতাধীন পূর্ব রামখানা (থানা- নাগেশ্বরী, জেলা- কুড়িগ্রাম) নামক স্থানে বিশেষ টহল অভিযান পরিচালনা করে ১৫ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ ১জন আসামী আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়া গংগারহাট বিওপির আওতাধীন মধ্য বিদ্যাবাগিস (থানা- ফুলবাড়ী, জেলা- কুড়িগ্রাম) নামক স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪৩ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল ও ৬কেজি গাজাসহ ১টি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাদকদ্রব্যসহ ১জন আসামী আটক করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ ৩৫০ বোতল, ফেন্সিডিল ৫৮ বোতল ও গাঁজা ৬কেজি, বাজার মূল্য ১,৮৪,২০০/- এবং ১টি মোটর সাইকেল, বাজার মূল্য-১,৯০,০০০/- ও ২টি বাই সাইকেল, বাজার মূল্য-১২,০০০/-। যার সর্বমোট বাজার মূল্য ৩লক্ষ ৮৬হাজার ২শত টাকা। এ ঘটনায় ১টি বাইসাইকেল ও ১৫ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ আটকৃত আসামী মোঃ নুরুল ইসলাম (৩২), পিতাঃ মৃত আবুল কাশেম, গ্রামঃ দক্ষিণ শিংঝাড়, থানাঃ ভুরুঙ্গামারী ও জেলাঃ কুড়িগ্রাম এর বিরুদ্ধে নাগেশ্বরী থানায় মামলা দায়ের পূর্বক মাদকদ্রব্যসহ আসামীকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া মাদক সংশ্লিষ্ট অন্যান্য চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম পিএসসি বলেন, দেশের যুব সমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।
এই অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার দাবিদার, যা মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।